বুধবার, ২৯ Jun ২০২২, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
উপবৃত্তির জন্য আবেদন ২০২২ (স্কুল-কলেজ) : ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির উপবৃত্তি অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ও সময়সূচি সম্পর্কে জানুন।
২০২২ সালের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় স্কুল-কলেজে ভর্তিকৃত ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির উপবৃত্তি যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের সময়সূচি সহ আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
এছাড়া উপবৃত্তি যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে HSP-MIS ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের তথ্য কিভাবে এন্টি করতে হবে তারও নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উপবৃত্তির অনলাইন আবেদন ফরম ১০ মার্চ ২০২২ তারিখ থেকে ১০ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখের মধ্যে এন্ট্রি করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজে) অনলাইনে উপবৃত্তির অনলাইন আবেদন এন্ট্রি শুরু ১০ মার্চ ২০২২ তারিখ থেকে। চলবে ১০ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত।
১০ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখ রাত ১২ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির পর সফটওয়্যারের নির্ধারিত অপশন ব্যবহার করে উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর এন্ট্রির সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপবৃত্তি কমিটির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক HSP-MIS এন্ট্রি করা তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করবেন।
যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য ১৭ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখের মধ্যে. উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্ধারিত অপশন ব্যবহার করে HSP-PMEAT-তে প্রেরণ করবেন।
দারিদ্র্য ও প্রক্সি মিন্স টেস্টিং যৌথ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তথ্যাদি যাচাই বাছাই করে একটি বিশেষায়িত সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
শুধুমাত্র ৬ষ্ঠ এবং ১১ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আওতায় উপবৃত্তি প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবে।
তবে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যারা উপবৃত্তি কর্মসূচি বর্হিভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ম শ্রেণি পাস করে নতুন ভর্তি হয়েছে তারা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ম শ্রেণির কোন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না।
শিক্ষার্থী অন্য কোনো সরকারি উৎস থেকে উপবৃত্তি অথবা অভিভাবক কর্তৃক শিক্ষাভাতা গ্রহণ করলে উপবৃত্তির জন্য যোগ্য বলে
বিবেচিত হবে না।
এছাড়াও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মেধা/সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্মসনদ। জন্মসনদ নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে।
পিতা/মাতা/অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১০ অথবা ১৭ সংখ্যা)। ১৩ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে প্রথমে জন্মসাল বসিয়ে ১৭ সংখ্যার রুপান্তর করতে হবে।
শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে কোন বৈধ/সচল অনলাইন ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নম্বর। অনলাইন/এজেন্ট ব্যাংক এর ক্ষেত্রে একাউন্ট নম্বর ১৩-১৭ ডিজিট এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে একাউন্ট নম্বর ১১-১২ ডিজিট হতে হবে।
পিতা অথবা মাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে চাইলে, তাদের নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক হবেন পিতা অথবা মাতা। কেবল মাত্র পিতা মাতার অনুপস্থিতিতে অন্য কোন ব্যক্তিকে ভাই/বোন/
দাদা/দাদী/নানা/নানী/ইত্যাদি) অভিভাবক হিসাবে নির্বাচন করা যাবে।
স্কুল-কলেজের ৬ষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরম পূরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদনের পিডিএফ ফরম (চার পাতা) শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
নিচের লিংক উপবৃত্তির ফরম ডাউনলোডের পর সকল তথ্য পূরণ করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে উপবৃত্তির আবেদন করতে হবে।
২০২২ সালের উপবৃত্তির জন্য আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম জানতে উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে পড়ে দেখুন। কোন বিষয় জানার থাকলে আমাদের লিখে জানান।
তথ্যটি সবাইকে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন।